তেঁতুলিয়া উপজেলার কালান্দিগঞ্জ এলাকায় বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে বুধবার (১৮/০৯/১৩) রাতে একাব্বর (৬২) নামের এক ব্যক্তি এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদলত।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান কর্তৃক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে বুধবার ১৮/০৯/২০১৩ খ্রি. তারিখ রাত ১১.৩০ টার সময় কালান্দিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মো. লাবনী আক্তার, পিতা- মো. বাবুল হোসন, সাং- কালান্দিগঞ্জ, ডাকঘর- মাঝিপাড়া, উপজেলা- তেতুলিয়া, জেলা-পঞ্চগড়। যার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী সার্টিফিকেট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ২৮/০৮/২০০১ অর্থ্যাৎ বয়স ১২ বছর এর সহিত জনাব মো. দেলোয়ার হোসেন, পিতা- একাব্বর আলী, গ্রাম-ফকিরপাড়া, মাঝিপাড়া, তেতুলিয়া, পঞ্চগড় যার জন্ম সনদ অনুযায়ী জন্ম তারিখ ২৭/০২/১৯৯৩ অর্থ্যাৎ বয়স ২০ বছর ০৬ মাসকে বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নাবালিকা মেয়ের সহিত নাবলক ছেলের বিয়ে দেয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্থ করে বিজ্ঞ ভ্রম্যমান আদালত ছেলের বাবা মো. একাব্বর আলী (৬২), পিতা- মৃত এবাদত আলী, সাং- ফকিরপাড়া, ডাকঘর- মাঝিপাড়া, উপজেলা- তেতুলিয়া, জেলা- পঞ্চগড়-কে বাল্য বিবাহ আইন নিরোধ আইন, ১৯২৯ এর বাল্য বিবাহনূষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত পিতা মাতা বা অভিভাবকের শাস্তি ৬(১) ধারা লংঘনের দায়ে অভিযোগ গঠন পূর্বক ০১(এক) মাসের বিনাশ্রম করাদন্ড প্রদান করেছন এবং সি/ডাবলিও মূলে অফিসার ইনচার্জ, তেতুলিয়া থানার মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই অপরাধে অপরাধী মেয়ের বাবা মো. বাবুল হোসন, সাং- কালান্দিগঞ্জ, ডাকঘর- মাঝিপাড়া, উপজেলা- তেতুলিয়া, জেলা-পঞ্চগড়। পলাতক থাকায় ভ্রম্যমান আদালতের সামনে হাজির না হওয়ায় আসামীর বিষয়ে একটি এজাহারভুক্ত দায়ের করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা করুনা কান্ত রায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস